
আমাদের জীবন সত্যিই অনেক বেশি বৈচিত্রময় 🥺 মৃত্য! প্রতিটি জীবের জন্য শতভাগ চিরন্তন সত্য যা মহান আল্লাহর প্রদত্ত ঘোষণা। আবার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক আয়ের ব্যবস্থা। প্রিয়জন হারানোর বেদনা যতই কঠিন হোক না কেনো পরিবারের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তা তুচ্ছ হয়ে যায়। পৃথিবীর নিয়ম অনুযায়ী প্রিয় বাবার মৃত্যুর শোক সামলে নেওয়ার জন্য মাত্র কয়েক ঘন্টা বরাদ্দ থাকে।
এর চাইতে ভালো কোনো সমাধান মহান সৃষ্টিকর্তার বিশেষ নিদর্শন ছাড়া পাওয়া সত্যিই অসম্ভব। ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন রাখার পরবর্তী সময় টা মধ্যবিত্তের “বাবা” দের জন্য পরকালের ডাক হিসেবে আবিভূত হয়। পিতার মৃত্যুর শোক বুঝে উঠার আগেই নিজের চোখ গুলো যেনো কৃপনতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে অস্থির হয়ে পড়ে। দু-এক পোঁটা অশ্রু ঝরানোর সময় গুলো চিৎকার দিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলে, মধ্যবিত্তের আবার অশ্রু কিসের। দায়িত্বের বোঝা এতোটাই ভারী মনে হয় যার নিচে চাপা পড়ে নির্বাক হয়ে চুপসে যায় অন্তরের কতশত আবেগ। ফিনকি দিয়ে নির্গত রক্তের শ্রোত অভিমানী হয়ে নিমিষেই থেমে যায়, হৃদয়ের অন্তরালে জমাট বাঁধানো কষ্ট গুলো নিমিষেই নিমজ্জিত হয় মধ্যবিত্তের কষাঘাতে। সময় গুলো বলতে শুরু করে যে যাওয়ার সে তো চলেই গেছে, দায়িত্বের বোঝা সামলে নাও। শুরু হয়ে যায় নিত্য দিনের যুদ্ধ, হ্যাঁ ফ্যামিলির মুখে খাবার তুলে দেওয়ার যুদ্ধ।
সত্যি বলতে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আবেগী চোখ গুলো সর্বোচ্চ ভারী বস্তুর চাইতেও অধিক ভারী মনে হয়।
চোখ দিয়ে শুধু দেখবো আর জীবিকার জন্য লড়াই করবো, কান্না কিংবা চোখের জল, সে আবার কি!