একজন নতুন সেলসম্যান সেলস বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ও অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে যা তাকে দ্রুত সফল হতে সহায়তা করবে।
নিচে ধাপে ধাপে করণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো:

১. পণ্যের পূর্ণ জ্ঞান অর্জন
পণ্যের বৈশিষ্ট্য (Features), উপকারিতা (Benefits) এবং সম্ভাব্য আপত্তির উত্তর মুখস্থ রাখতে হবে
প্রতিযোগীতা কারী প্রতিষ্ঠান গুলোর উৎপাদন কৃত প্রোডাক্টের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণ শিখতে হবে
FAQ (Frequently Asked Question) বা গ্রাহকের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখতে হবে
২. ক্লায়েন্ট বা ক্রেতাকে বোঝা
টার্গেট কাস্টমার কে? (বয়স, পেশা, আগ্রহ, সমস্যা)
ক্রেতার চাহিদা ও সমস্যা শুনে বুঝে সে অনুযায়ী সমাধান প্রস্তাব করা
একই কথা সব ক্রেতাকে না বলা – ব্যক্তিগতকরণ (Personalization) করতে হবে
৩. ভালো শ্রোতা হওয়া এবং বিশ্বাস তৈরি করা
কথা বলার চেয়ে শোনা বেশি জরুরি – ক্রেতা কী বলছে তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন
বন্ধুত্বপূর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী আচরণ
সততা ও খোলামেলা যোগাযোগে বিশ্বাস অর্জন করা
৪. সেলস স্ক্রিপ্ট এবং প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত রাখা
ফোন কল, মিটিং বা সরাসরি সাক্ষাতে কীভাবে শুরু করবেন – এর জন্য স্ক্রিপ্ট/ধাঁচা ব্যবহার করা
সেলস পিচ প্র্যাকটিস করা, যাতে তা সাবলীল ও প্রভাবশালী হয়
প্রয়োজনে ভিজ্যুয়াল/ব্রোশার/ডেমো ব্যবহার করে বুঝানো
৫. নিয়মিত ফলো-আপ করা
একজন ক্রেতা হয়তো প্রথম বারেই কিনবে না – তাকে স্মার্ট ফলোআপ করতে হবে
কল/মেসেজ/ইমেইল – যেটা উপযুক্ত, সেটা ব্যবহার করে শ্রদ্ধাশীলভাবে মনে করিয়ে দেয়া
ফলোআপের সময়সীমা ঠিক রাখা ও রেকর্ড রাখা (CRM ব্যবহারে সুবিধা হয়)
৬. বিক্রয়ের পরেও সম্পর্ক রক্ষা করা
পণ্য বিক্রির পর ধন্যবাদ জানানো, প্রয়োজনে সাহায্য করা
সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট রেফারেল আনতে পারে
একজন ভালো সেলসম্যান সেল ক্লোজ করার পরও যোগাযোগ রাখেন
৭. নিজের দক্ষতা নিয়মিত বাড়ানো
বিক্রয় ও যোগাযোগ বিষয়ক বই/ভিডিও/ট্রেনিং থেকে শেখা
সিনিয়রদের পর্যবেক্ষণ করে শেখা
নিজের দুর্বল জায়গা গুলো খুঁজে উন্নতি করা
৮. লক্ষ্য নির্ধারণ ও নিজেকে মোটিভেট রাখা
প্রতিদিন/সপ্তাহে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করা (যেমন: ১০ জনকে কল করবো, ৩ জনের সাথে মিট করবো)
বিক্রয় না হলে হতাশ না হয়ে শেখার মানসিকতা রাখা
নিজেকে উৎসাহিত রাখতে পজিটিভ চিন্তা ও আত্মবিশ্বাস রাখা